কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে বারবার নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। ফের ফুটে উঠল সেই চিত্র। আগামী মাসেই দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দুই রাজ্য, কংগ্রেসশাসিত ছত্তিশগড়, রাজস্থানে হানা দেওয়া শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু তাই নয় পুজো শেষ হতে না হতেই বাংলাতেও ফের আসরে নেমে পড়ছে তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইডির অভিযান ঘিরে সরগরম রাজস্থানের রাজনীতি। ইতিমধ্যেই বাকযুদ্ধে নেমেছেন কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা। এরই মধ্যে কংগ্রেস শিবিরে স্বতির হওয়া বইয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিক্ষুব্ধ এই নেতা মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকে অভয় দিয়ে বলেছেন, “ভয় পাবেন না। আমরা পাশে আসছি। কংগ্রেস দলগতভাবে এই আক্রমণের মোকাবিলা করবে।”
প্রসঙ্গত, ইডি যেসব জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি রাজ্যেন্দ্র সিং ডোটাসারার যোধপুর ও শিকার জেলার বাড়ি। এছাড়া দুই কংগ্রেস নেতার বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, গেহলটের পুত্র বৈভবকে শুক্রবার তলব করেছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া মামলায় তলব করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রকে। ছত্তিশগড়ে ১৭৫ কোটি টাকার নতুন একটি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এহেন অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, আম আদমি পার্টি, ডিএমকের সাফ অভিযোগ, ইডি আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নেই। বিজেপির জোট শরিকেই পরিণত হয়েছে তারা।