গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা থেকে মিনিট কুড়ির মধ্যে ছোঁড়া হয় ৫ হাজার রকেট। এর পরই জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল সরকার। সেই যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। ইজরায়েলি সেনার হানায় কার্যত বিধ্বস্ত গাজা। একদিকে ছোট্ট জনপদটা থেকে ইজরায়েলকে নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে হামাস, অন্যদিকে ইজরায়েলি বাহিনী হামাসকে নিকেশ করতে একের পর এক মারণাস্ত্রের হামলা করে যাচ্ছে গাজায়। আর এর ফলে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। গাজার এই সঙ্কটই উদ্বেগ তৈরি করেছে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে। মোদী সরকারের আশঙ্কা, গাজায় যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তা জম্মু-কাশ্মীরেও হতে পারে। ফের একবার জঙ্গি নাশকতায় রক্তাক্ত হতে পারে উপত্যকা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানাচ্ছে, উপত্যকায় ফের জঙ্গি গতিবিধি টের পাওয়া যাচ্ছে। সেই নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। বুধবারই জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে ১৫ কর্পসের সদর দফতরে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরে যদি ফের বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে তা কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠনের পরেই নিরাপত্তার দিক থেকে কাশ্মীর কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে প্রত্যাশিত ভাবে তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরে তালিবানি আগ্রাসন হোক বা না হোক, গাজার পরিস্থিতি ফের সঙ্কট তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উপত্যকাবাসী ফের বিক্ষোভ শুরু করলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়তে পারে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।