এবছর দুর্গাপুজোর জন্য রাজ্যের ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল রাজ্য সরকার। আর উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলায় দুর্গাপুজোয় ব্যবসা ছাড়িয়ে গেল ৬০,০০০ কোটি টাকা। এমনই জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে দেবাংশু বলেন যে, যাঁরা দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৭০,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া নিয়ে রে রে করে তেড়ে আসছিলেন, তাঁরা এবার কী বলবেন? কারণ এই টাকায় তো রাজ্যের উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। “পরেরবার গালাগালিগুলি আগাম তৈরি করতে থাকুন! ততক্ষণ হাওয়াই চপ্পল পরা মেয়েটা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাক রাজ্যটাকে, আপনাদের গালে এভাবেই রোজ থাপ্পড় মারতে-মারতে”, কটাক্ষ দেবাংশুর।
প্রসঙ্গত, বুধবার নিজের ফেসবুক পোস্টে দেবাংশু বলেন, “২০১৯ সালের বাংলায় দুর্গাপুজো কেন্দ্রীক অর্থনীতি ছিল ৩০,০০০ কোটি টাকার। এবার তা দ্বিগুণ হয়ে ৬০,০০০ কোটি ছাড়াল। যাঁরা পুজোগুলিকে টাকা দেওয়া নিয়ে গালমন্দ করেছিলেন, তাঁদের বলছি, দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকার মোট ৩০০ কোটি টাকা ঢেলেছিল। অর্থনীতির চক্র সেটাকে কত করে ফেরত দিল? ৬০,০০০ কোটি! কত গুণ হচ্ছে? এই টাকাটাই ফিরে আসবে মায়েদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে, মেয়েদের কন্যাশ্রীতে, রাস্তায়, ব্রিজে, ফ্লাইওভারে, পানীয় জলে, স্বাস্থ্যে, সুরক্ষায়।” রাজ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিভেদ অনেকদিন আগেই ভেঙে দিয়েছে দুর্গাপুজো। এখন দুর্গাপুজো সকলের উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালের দুর্গাপুজোয় সার্বিকভাবে বাংলার ৩০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। যা ছিল রাজ্যের জিডিপির প্রায় ২.৬ শতাংশ। এবার তা দ্বিগুণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসুর। তাঁর বক্তব্য, দুর্গাপুজোয় ঠিক কত টাকার ব্যবসা হয়েছিল, তা এখনই নির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। তবে এবার পুজোয় ব্যবসার অঙ্ক ৬০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে অনুমান করছেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শুধু কলকাতায় ১০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় ঠাঁই পাওয়ায় এবার পুজো উদ্যোক্তারা বাড়তি ২০ শতাংশ অর্থ খরচ করেছেন। সেইসঙ্গে হেরিটেজ তকমার কারণে এবার আরও বেশি মানুষের ভিড় হবে বলে আশা করা হয়েছিল। ফলত আরও বেশি পরিমাণে বিজ্ঞাপন টানা গিয়েছে। যেজন্য অর্থলাভ হয়েছে আরও আরও বেশি।