ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ইতিহাসেও এই ঘটনা বিরল। জালিয়াতদের হাতে চুড়ান্ত বোকা বনতে হল এক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের বেঙ্গালুরু শাখা। এক বেসরকারি সংস্থার নামে ঋণ চেয়ে ওই ব্যাঙ্ক থেকে ১৭ লক্ষ টাকা আদায় করেছে ওই জালিয়াত চক্র। এমনটাই অভিযোগ। এরপর, ওই বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায় করতে যেতেই ধরা পড়েছে এই জালিয়াতি। যে ঋণ তারা নেয়নি, তা শোধ করতে নারাজ ওই সংস্থা। এদিকে খোঁজ মিলছে না ওই জালিয়াত চক্রেরও। এই বিষয়ে শহরের ওয়েস্ট সিইএম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় ওই টাকা চেয়ে একটি ই-মেইল এসেছিল। এক বেসরকারি সংস্থার নাম করে মোট ১৭ লক্ষ টাকা ঋণ চাওয়া হয়েছিল। ব্যাঙ্কে ওই সংস্থার একটি ক্যাশ ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট ছিল। বিভিন্ন সংস্থা, আর্থিক সংস্থা, বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে তাদের মূলধনের চাহিদা মতো স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলি। একেই বলে ক্যাশ ক্রেডিট। আর এর জন্য একটি ক্যাশ ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট লাগে। এরপর, ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের নাম করে একটি ফোনও এসেছিল ব্যাঙ্কে। ফোনে বলা বলা হয়েছিল, তাঁর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা লাগবে। একটি অ্যাকাউন্টে ৮.৭৮ লক্ষ, অপরটিতে ৯.১২ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়েছিল।
সর্বোচ্চ কত টাকা তিনি ঋণ পেতে পারেন, তাও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।
মজার বিষয় হল, ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল যে লেটারহেডে, সেটি ওই সংস্থার নামে হলেও, সেটি ছিল নকল। এমনকি, ওই ইমেইল অ্যাড্রেসটিও ছিল ভুয়ো। বেশ কয়েকবার ওই ইমেইল থেকে একই লেটারহেডে ঋণের জন্য অনুরোধ পাঠানো হলেও, ব্যাঙ্ক কর্মীরা তা ভুয়ো বলে ধরতে পারেননি। এমডির ফোন আসার পর, আর কিছু না ভেবে-চিন্তে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ওই দুই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সংস্থার আসল ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দাবি, ওই সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। তাঁর সংস্থা নাম করে ঋণ নেওয়া হয়েছে জানার পরই তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। দেশে ফিরে আসার পর, এই বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ জানান।