এবছরের মতো সমাপ্ত দুর্গোৎসব। মর্ত্য ছেড়ে ফের কৈলাসে পাড়ি দিয়েছেন উমা। বাতাসে এখন বিষাদময় বিজয়ার সুর। আর প্রতিবছরের মতো, দুর্গাপুজো শেষ হতেই জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল চন্দননগরে। নিয়মরীতি মেনে দুর্গা পুজোর দশমীর দিন চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজো হয়। বুধবার ভদ্রেশ্বর গৌরহাটি তেঁতুলতলার ২৩১তম বর্ষের কাঠামো পুজো হয়ে গেল নিয়ম মেনে। শুরু হল দেবী জগদ্ধাত্রীর মূর্তি গড়ার কাজ। দুর্গাপুজোর এক মাস পরে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরের উত্তরাঞ্চল বিবিরহাট জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পুজো ৫৭ বছরে পড়ল।
উল্লেখ্য, এখানে এক দিকে যখন বিসর্জনের আগে উমাকে বরণ করা হয়, অন্যদিকে হৈমন্তিকাকে আহ্বানের জন্য কাঠামো পুজো হয়। বিবিরহাট ব্যতিক্রম নয়, চন্দননগরের বেশিরভাগ পুজোকমিটিই বিজয়াদশমীর দিন জগদ্ধাত্রীর কাঠামো পুজো করে। বিশালাকৃতি প্রতিমা আর আলোর রকমারি রোশনাই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। করোনার দু’বছর উৎসবের মেজাজ খানিক ব্যাহত হলেও গত বছর থেকেই আবার সেই পুরোনো আবহ ফিরে এসেছে। এবারও দুর্গা বিসর্জনের দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল তার তোড়জোড়।