এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিরোধিতা করে অভিনব পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল কৃষকদের। কর্ণাটকের বিজয়পুরা জেলার কৃষকরা ১৯শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার হুবলি ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডএর সাব-স্টেশনে একটি কুমির নিয়ে আসে৷ তারা কুমিরটিকে কর্মকর্তাদের সামনে রেখেছিল। দিনের আলোতে অবিচ্ছিন্ন থ্রি-ফেজ বিদ্যুতের দাবি করেছিল তারা। জানিয়েছিল, তাদের ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। এহেন ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আতঙ্কে হেসকম কর্তারা দ্রুত পুলিশে খবর দেন। কৃষকরা রনিহালা গ্রামের একটি ক্ষেতে বড় কুমিরের মুখোমুখি হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে, তারা সরীসৃপটিকে তুলে পাওয়ার স্টেশনে নিয়ে যায়, যেখানে হেসকম কর্মীরা ছিল। বিদ্যুৎ অফিসে পৌঁছে, কৃষকরা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এবং জিজ্ঞাসা করেছিল এই পরিমাণ লোডশেডিং হলে সাপ, বা কুমিরের কামড়ের ফলে রাতের বেলায় মৃত্যু ঘটলে তারা কী করবে। পরে, বন কর্তৃপক্ষ কুমিরটিকে উদ্ধার করে আলমাট্টি নদীতে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও লোডশেডিং সমস্যার সুরাহা হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্ণাটকের বিদ্যুতের ঘাটতি শুধুমাত্র কর্ণাটকে নয়, তেলঙ্গানায়ও রাজনৈতিক বিতর্ক হিসেবে গুরুতর ভূমিকা নিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি এবং জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) উভয়ই সরকার-আরোপিত লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে, যা কৃষকদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অন্যদিকে, ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) দলের নেতা কে কবিতাও তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করার জন্য এই পরিস্থিতি ব্যবহার করছেন। গত সপ্তাহে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন যে এই বছরের খরার কারণে রাজ্যে অক্টোবরে বিদ্যুৎ ব্যবহার ১০,০০০ মেগাওয়াট থেকে ১৬,০০০ মেগাওয়াট হয়ে গিয়েছে। সাধারণত অক্টোবর মাসে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হলেও এখন তা ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার ৬০০০ মেগাওয়াট বেড়েছে। তিনি যদিও বলেন, আধিকারিকদের সাথে একটি বৈঠক হয়েছে। কৃষকদের অবিচ্ছিন্নভাবে পাঁচ ঘন্টা তিন-ফেজ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া উচিত, সেখানে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।