হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের জেরে আদানি গোষ্ঠী যে বিরাট অঙ্কে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টেই। পূর্বাভাসে বলা ছিল, এই রিপোর্টের জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। সেই পূর্বাভাস মিলে গেল আদানি টোটালের লোকসানের পরিমাণের সঙ্গে।
আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বড় সংস্থা আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড। গত ২৪ জানুয়ারি সংস্থার হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের সময় এই সংস্থার শেয়ারের দাম ছিল ৩,৮৯১ টাকা ৭৫ পয়সা। বর্তমানে শেয়ার প্রতি সেই দর মেনে এসেছে মাত্র ৫৭৫ টাকার আশেপাশে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের দাম প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর সেটাই পূর্বাভাস দিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় আদানি গোষ্ঠীর রক্তক্ষরণ। আদানিদের সব সংস্থাই ব্যাপক হারে লোকসানের মুখে পড়ে। পরের দিকে কিছুটা পুনরুদ্ধার হলেও, আদানিদের সব সংস্থা লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থা আদানি টোটাল গাস। তাঁদেরই ৮৫ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে আদানি গোষ্ঠী প্রায় অর্ধেক সম্পত্তি খুইয়ে ফেলেছে এই রিপোর্টের জেরে।