মঙ্গলবার রাতে প্রচার সেরে ফেরার পথে আচমকাই যোধপুরের সুরসাগর আসনের বিজেপি বিধায়ক সূর্যকান্তা ব্যসের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেখানে গেহলটের নামে জয়ধ্বনি দেন বিধায়কের লোকজনেরা। মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান প্রবীণ বিধায়ক সূর্যকান্তা। মিনিট পনেরো তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে মরু রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে গেহলটের কৌশল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আসলে তিনবারের জনপ্রিয় বিধায়ক সূর্যকান্তাকে বিজেপি এবার টিকিট দেয়নি। এর কারণও জানায়নি দল। প্রার্থী তালিকায় অন্য নাম দেখে দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সুরসাগরের বিধায়ক দাবি করেন কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল না প্রকাশ্যে জানাতে হবে দলকে। অন্যদিকে, গেহলটের দাবি, সূর্যকান্তা তাঁর কাজের প্রশংসা করাতেই টিকিট দেয়নি বিজেপি। মাস ছয় আগে মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন বিজেপির এই বিধায়ক। যোধপুরের উন্নয়নের যাবতীয় কৃতিত্ব তিনি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীকে দেন। যোধপুর জেলারই সরদারপুরার বিধায়ক হলেন গেহলট।
যোধপুরের উন্নয়ন ছাড়াও গেহলট সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প, ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন বিজেপি বিধায়ক। সূর্যকান্তার বক্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে টিকিট দেয়নি। যদিও এই সিদ্ধান্তের পরিণতি যে ভাল হবে না, একান্তে মানছেন দলের অনেক নেতাই। এদিকে, গেহলটের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর বিজেপি বিধায়কের দল ছাড়ার জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। সূর্যকান্তা কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিলে তাঁকেই সুরসাগরের প্রার্থী করা হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।