গত বছর ঢাকঢোল পিটিয়ে ৪ বছরের স্বল্প মেয়াদে সেনায় নিয়োগে অগ্নিপথ প্রকল্প আনে মোদী সরকার। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে। এবার ফের প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের সেই প্রকল্প। সিয়াচেন সীমান্তে ডিউটি করতে গিয়ে ফের এক অগ্নিবীর প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত অগ্নিবীর গাওয়াতে অক্ষয় লক্ষ্মণ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। যদিও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সেনা আধিকারিকরা। তবে লেহ-লাদাখ সীমান্তের দায়িত্বরত সেনার নর্দার্ন কম্যান্ডের পক্ষ থেকে রবিবার ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে অগ্নিবীরের মৃত্যুর খবর জানিয়ে তাঁকে সসম্মানে শেষ বিদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ভারতীয় সেনায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের জন্য ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প চালু করে মোদী সরকার। যা নিয়ে সেসময় দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলে উঠেছিল বিহার থেকে তেলেঙ্গানা। যদিও সেনার মতো সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক জওয়ান নিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠেনি মোদী সরকার।
এর আগে গত ১০ অক্টোবর কাশ্মীরের পুঞ্চের সেনা ছাউনি থেকে উদ্ধার হয়েছিল পঞ্জাবের মানসার বাসিন্দা ‘অগ্নিবীর’ অমৃতপাল সিংহের দেহ। মাত্র এক মাস আগেই অগ্নিবীর হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নিহত অমটতপালের মাথায় গুলি লাগার ক্ষত ছিল। ‘অগ্নিপথ প্রকল্পে’র আওতায় কাজে যোগ দেওয়া কোনও যুবক এই প্রথম কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেলেন। অমৃতপালের মৃত্যু নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁর দেহ আনা থেকে, সৎকার সবকিছুই পরিবারকে করতে হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এমনকি জওয়ান-আধিকারিকের মৃত্যুতে সেনার তরফে যে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়, অমৃতপালের ভাগ্যে তাও মেলেনি বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সমালোচনার মুখে সেনার পক্ষ থেকে দায়সারা গোছের বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ১৯৬৭ সালের আর্মি অর্ডার অনুযায়ী, আত্মঘাতী কোনও সেনাকর্মীকে গান স্যালুট দেওয়া হয় না। যদিও অমৃতপালের আত্মহত্যার কথা মানতে চাননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছেলের মৃত্যুর তদন্ত দাবি করেছিলেন নিহত অগ্নিবীরের বাবা।