বাংলার পাশাপাশি সমানভাবে দুর্গোৎসবে মেতে উঠেছেন প্রবাসের বাঙালিরাও। এই বছর সপ্তম বছরে পা দিল সুইডেনের হেলসিংবর্গের বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির দুর্গাপুজো। গত বছর থেকেই এই তাদের থিম পুজোর সূচনা সুইডেনে। সেই সময়ের ভাবনা ছিল, ‘আত্মজা’। অন্যতম আয়োজক যুধাজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, “স্ক্যান্ডেনেভিয়াতে আমরাই প্রথম পূজা যেখানে তিন নারী পুরোহিত সোমা,মহুয়া ও মধুমিতা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিলেন এই গুরু দায়িত্ব।” আর এই বছরে বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির থিম ‘সাতকাহন’। পূর্ব ভারত আর উত্তর পূর্ব ভারতের ৭ টি রাজ্য, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, অসম, মণপুর, সিকিম আর নাগাল্যান্ডের রঙিন বৈচিত্র্যময় সামগ্রীতে (বাংলার হাতপাখা, ছৌ মুখোশ, উড়িষ্যার পিপলি শিল্প , বিহারের মধুবনি শিল্প , অসমের টুপি আর গামছা , সিকিমের ঘণ্টা, নাগাল্যান্ডের বাঁশের ঝুড়ি, মণিপুরের পাট আর বাঁশের শিল্প) সেজে উঠেছে মণ্ডপ।
এখানে দেবী পূজিতা হবেন নারী পুরোহিতের হাতেই। যজ্ঞের আয়োজন করা হবে সকলের মঙ্গল কামনা করে। পুজোর ভাইস প্রেসিডেন্ট কথিকা পাল মনে করেন, “এবারের পূজাতে আমাদের বড় আকর্ষণ জোজোন ব্যান্ড এর ফিউশন লোকগীতির অনুষ্ঠান।” নাচ ,গান ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে সাত রাজ্যের কাহিনী তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহুয়া দেব। সদস্যদের উৎসাহে পূজা প্রাঙ্গনেই থাকছে ভোগ রান্নার আয়োজন, থাকছে লাইভ লুচি কাউন্টার, ঘরোয়া বাঙালি মিষ্টি আর বাহারি বাঙালি খাবারের সমাহার। সিঁদুর খেলা, দেবীবরণ, বিসর্জনের নাচের সঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে জিতে নেবার সুযোগ। সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক থেকে যোগ দেবেন বিদেশিরাও। প্রতিবারের মত এবারেও ক্যামেরার পেছনে পুজোর মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয়
করে রাখার দায়িত্ব রয়েছে অর্পণ রায় ও সৌমেন দত্তের উপর।