ষষ্ঠীর দুপুরে হঠাতই একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি। তাঁকে বলা হয়, তাঁর ওয়ার্ড এবং পাশের ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে একটি আবাসনে ৩ জন রোগগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁদের দেখভাল করার কেউ নেই৷ আর তারপরেই বারাসত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবব্রত পালের মানবিক উদ্যোগে বাঁচল তিনটি প্রাণ। আবাসন-বন্দি হয়ে দীর্ঘদিন প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন ওই অসহায় তিনজন। খবর পাওয়া মাত্রই তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। ভবিষ্যতে তাঁদের আহারের ব্যবস্থাও করবেন বলে জানান দেবব্রতবাবু।
প্রসঙ্গত, মহাষষ্ঠীর দিন দুপুরে হঠাতই একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলেন পুরপিতা দেবব্রত পাল। তিনি জানতে পারেন, তাঁর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে একটি আবাসনে রিনা রায়, শশধর রায় ও কাজরী রায় জীর্ণ ও রোগগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। বিগত তিন মাস ধরে তাঁরা অসহায় অবস্থায় প্রবল আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অর্ধাহারে তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে। তাঁদের দেখভালের কেউ না থাকায় মুড়ি এবং জল খেয়ে কোনওমতে বেঁচে আছেন।
দেবব্রতবাবু তা শুনে তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তিন মুমূর্ষুকে বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। তাঁরা তিনজনই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল কাউন্সিলর জানান, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি খবর পাওয়ামাত্রই নিজে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করি। বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়ও এগিয়ে আসেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। মানুষের দুর্দিনে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই মানুষ হিসেবে আমাদের কাজ। আমি সেই কাজই করেছি মাত্র।’