অবশেষে চতুর্থ প্রচেষ্টায় কার্যসিদ্ধি ইসরোর। সপ্তমীর সকালে গগনযান মিশনের টেস্ট ভেহিকলের সফল উৎক্ষেপণ করে নয়া নজির গড়ল তারা। আর এর ফলে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত।
প্রথমে ঠিক ছিল আজ সকাল ৮টার সময় গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। সকাল ৮টার বদলে উৎক্ষেপণের সময় নির্দিষ্ট করা হয় সকাল ৮টা বেজে ৩০ মিনিট। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই উৎক্ষেপণও স্থগিত করে দেওয়া হয়। নতুন সময় জানানো হয় সকাল ৮টা বেজে ৪৫ মিনিট। কিন্তু তখনও উৎক্ষেপণ করা যায়নি গগনযান।
ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, কিছু যান্ত্রিক ত্রুতির কারণে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে উৎক্ষেপণ। শেষে সকাল ১০টায় টেস্ট ফ্লাইট উৎক্ষেপণের সময় নির্দিষ্ট করা হয়। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ১০টায় সফল উৎক্ষেপণ হয় গগনযান মিশনের টেস্ট ভেহিকলের। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ইসরো।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে এই গগনযান মিশনের মাধ্যমেই মহাকাশে প্রথমবার মানুষ পাঠাবে ভারত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। সেই মহাকাশযানে থাকবেন ৩ মহাকাশচারী। ৩ দিন পর সেটি ভারত মহাসাগরে ফিরে আসবে। এখন সেই মিশনের সময় নভোশ্চরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই, আজ এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ।
কোন কোন বিষয়ে সমস্যা হতে পারে, আজকের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের পর সেগুলি চিহ্নিত করবে ইসরো। সোমনাথ জানান, ‘গগনযান মিশনের মূল লক্ষ্য হল মহাকাশে মহাকাশচারী নিরাপদে নিয়ে যাওয়া। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট লঞ্চ ভেহিকল তৈরি করা। মহাকাশে মহাকাশচারীদের জন্য পৃথিবীর মতো পরিবেশ তৈরি করা। জরুরি অবস্থায় যাতে মহাকাশচারীরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীতে ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া।’