একদিকে যখন আরব সাগরের গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে, তখন শক্তি বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপও সুন্দরবন উপকূলে ধেয়ে আসার পথে। আর তাই পুজোর শেষ লগ্নে দুর্যোগের আশঙ্কা! ইতিমধ্যেই দশমী থেকে ২ দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুজোর শেষ দিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে এসে রিকার্ভ করবে গভীর নিম্নচাপ। উপকূল বরাবর এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে আসার সম্ভাবনা। এর অভিমুখ থাকবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকা। এর ফলে রাজ্যের উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত এই দুর্যোগ বাড়তে পারে। দশমী ও একাদশী মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অষ্টমী পর্যন্ত রাজ্যে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়ার প্রভাব থাকবে। রবিবার পর্যন্ত থাকবে পরিষ্কার আকাশও। তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার থেকে হাওয়া বদল ঘটবে। সোমবার অর্থাৎ নবমীর দিন উপকূলের জেলায় মেঘলা আকাশ, সঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার দশমীর দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মেঘলা আকাশ থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।