মোদী জমানায় বারবারই দেশে সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধের চেষ্টা হয়েছে। ইউএপিএ আইনের গেরোয় নাজেহাল হতে হয়েছে বহু সাংবাদিককেই। যার তালিকা দীর্ঘ। সম্প্রতি যেমন চিনের হয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমন আইন-সহ একাধিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে। এই আবহেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাইল মিডিয়া সংগঠনগুলি। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখল প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান উইমেন প্রেস কর্পস, প্রেস অ্যাসোসিয়েশন, দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট, কেরালা ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট, ডিজিপাব, ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাব, ভেটেরান জার্নালিস্ট গ্রুপ এবং অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স ইউনিয়ন।
সংবিধানের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, জীবন জীবিকার স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করতে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসাবে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছে মিডিয়া সংগঠনগুলি। চিঠিতে ‘ভারতে স্বাধীন মিডিয়া যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে’ তার দিকে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টির আকর্ষণ করা হয়েছে। সাংবাদিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, সাংবাদিক এবং সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যুক্ত বিভিন্ন পেশার মানুষরা নজিরবিহীন আক্রমণের শিকার। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যথেচ্ছভাবে দানবীয় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক সহ ব্যবহার্য নানা সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, যা এই জীবিকার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সংগঠনগুলির মতে, গণতন্ত্র এবং দেশের বিকাশের স্বার্থে সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। তাই সেই স্বাধীনতা রক্ষার্থে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করা হচ্ছে।