নবরাত্রি উপলক্ষ্যে মেলা বসেছে। পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। তাতে আলাদা করে নজর কাড়ছে কয়েকটি স্টল। যেগুলির মাথায় গেরুয়া রঙের পতাকা টাঙানো। এই পতাকা আসলে একটা একটি চিহ্ন বা বার্তা। তা হল, দোকানি একজন হিন্দু। কেনাকাটা করুন গেরুয়া পতাকা লাগানো দোকান থেকেই।
এইভাবেই মুসলিম ব্যাপারীদের বর্জনের ডাক দিয়েছে দক্ষিণ কর্নাটকের মেঙ্গালুরুর একটি হিন্দুত্ববাদী ব্যবসায়ী সংগঠন সনাতন হিন্দু ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। ওই সংগঠন দাবি করেছিল মঙ্গলাদেবী মন্দির চত্বরের মেলায় মুসলিমদের যেন স্টল না দেওয়া হয়। সেই মতোই এগিয়ে ছিল রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত মন্দির কমিটি। স্টল বণ্টনের প্রথমবারের নিলামে মুসলিমদের দরখাস্তগুলি বিবেচনাই করা হয়নি। সরকারের হস্তক্ষেপের পর দ্বিতীয় দফার নিলামে ১১জন মুসলিম দোকানি স্টল পেয়েছেন।
মঙ্গলাদেবী মন্দির দক্ষিণ কর্নাটকের উদুপি জেলায় অবস্থিত, গত বছর হিজাব বিতর্কে যে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। উদুপির একটি প্রি-ইউনির্ভাসিটি কলেজেই মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাস করা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ছাত্র সমাজ হিন্দু-মুসলিমে ভাগ হয়ে যায়। তার রেশ ধরে গতবারই মঙ্গলাদেবী মন্দিরে নবরাত্রির মেলায় মুসলিম দোকানিদের স্টল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজ্যে তখন বিজেপি সরকার।
এইভাবে মুসলিমদের দোকান, পণ্য বর্জনের আহ্বান ঘিরে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশ্বহিন্দু পরিষদের স্থানীয় নেতা শরন পাম্পয়েল বলেন, আমরা কোনও ধর্মের বিরোধিতা করছি না। মন্দির পরিচালন বিধিতেই রয়েছে মঙ্গলাদেবী মন্দির চত্ত্বরে শুধু হিন্দুদের প্রবেশাধিকার আছে। মুসলিম দোকানিরা তাহলে কী করে দোকান দিতে পারেন। তাঁর বক্তব্য, লাগোয়া রাস্তাতেও মন্দির কমিটি স্টল বণ্টন করে। মুসলিমরা সেখানে দোকান পেতে পারে।