ফের মহিলা মহিলা সংরক্ষণ আইন নিয়ে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াল ‘ইন্ডিয়া’ জোট। প্রসঙ্গত, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার পরে তা নিয়ে দেশজুড়ে প্রচারের কৌশল অবলম্বন করেছে বিজেপি। এবার অবিলম্বে সেই আইন কার্যকরের দাবিকে সামনে রেখে মাঠে নামলেন ইন্ডিয়া জোটের মহিলা নেত্রীরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ইস্যুতে একেবারেই সামনের সারিতে রইলেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ইন্ডিয়ার শরিক ডিএমকের পক্ষ থেকে চেন্নাইতে শনিবার মহিলা অধিকার সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ইন্ডিয়ায় থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মহিলা নেত্রীরা দেশের মহিলাদের অধিকার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। দেশের মহিলারা যাতে সব ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে পৌঁছান তাই নিয়ে সাওয়াল করেছেন সোনিয়া। আবার একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, মুখে মহিলাদের অধিকারের কথা বললেও আদতে কাজের কাজ কিছুই করছে না তারা।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। নিজের বক্তব্যে তিনি দেশের মহিলাদের উপর নির্যাতনের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন মহিলা সংরক্ষণ আইন অবিলম্বে কার্যকর করা হবে না? তিনি বলেন, সংসদে জোরালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিজেপির। তাই নির্বাচনের ছয় মাস আগে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করিয়ে গিমিক দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। সংরক্ষণ চালু করার ক্ষেত্রে যে দুই নিয়মের কথা বলা হয়েছে, তাতে মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর হতে ২০৩৭ সাল পর্যন্ত দেশের মহিলাদের অপেক্ষা করতে হতে পারে। অথচ বিজেপি সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সেই কাজ আগেই হতে পারতো। সীমানা পুনর্বিন্যাস ও জনগণনা এই দুই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেই মহিলার সংরক্ষণ আইন চালু হবে বলেই বিলে উল্লেখ করা ছিল। কেন্দ্র সরকার ইচ্ছা করেই নীতির গেরোতে বিষয়টিকে আটকে দিয়েছে। আইন চালু হোক বা না হোক, সদিচ্ছা থাকলে যে মহিলা সংরক্ষণ কার্যকর করা যায় তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, এমনই মন্তব্য করেছেন সুস্মিতা। সংসদের তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা যে চল্লিশ শতাংশেরও বেশি তা উল্লেখ করেছেন তিনি। সম্মেলনে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, এনসিপি সংসদ সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদী পার্টির সংসদ ডিম্পল যাদব প্রমুখ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ডিএমকের পক্ষ থেকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি তনয়া তথা লোকসভার সাংসদ কানিমোঝি পরিচালনা করেছেন সম্পূর্ণ সম্মেলনটি।