পায়ে চোটের কারণে বিদেশ সফর থেকে ফিরে এক মাসের বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মসূচি হোক বা রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড— ভার্চুয়ালি অংশ নিলেও সরাসরি থাকতে পারেননি তিনি। এমনকী কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন দুর্গাপুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করছেন। প্রতিপদেও কলকাতার ১৭টি পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার মূলত বেহালা ও নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। আর সেই সময় বারবারই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছিলেন মমতা।
যেমন গতকাল কালীঘাট মিলন সংঘের পুজোমণ্ডপ উদ্বোধনের সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, তাঁর বাবা এই ক্লাবের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এখনও তাঁর দেখানো পথেই পুজো হয়ে চলেছে, এটা তাঁর কাছে আনন্দের। এই ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদাও। তাঁর সদ্যই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে। তাই দাদাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেখে কিছুটা ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, অসুস্থ শরীর নিয়ে কেন মণ্ডপে গিয়েছেন দাদা? এর পর ক্লাবকর্তাদের অনুরোধের সুরে বলেন যে দাদাকে যেন বেশি দায়িত্ব না দেওয়া হয়।মমতা এ-ও জানান, এ বছর পায়ের ব্যথার জন্য তিনি সশরীরে কোথাও যেতে পারছেন না। তবে আশ্বাস দিলেন, ২৭ অক্টোবর পুজো কার্নিভালের দিন দেখা হবে সবার সঙ্গে। অর্থাৎ তার আগে পর্যন্ত তিনি যে ঘরেই থাকবেন, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল রবিবার।