বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথম কিছুদিন রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু সেসব এখন অতীত। পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর ভূমিকা থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর ছড়ি ঘোরানো— এসব নিয়ে রাজ্যপালের ওপর বেজায় বিরক্ত রাজ্য সরকার। এবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। ‘বিধানসভায় পাস হওয়া আচার্য বিলে কেন সই নয় আচার্য তথা রাজ্যপালের’? এই প্রশ্ন তুলে আইনি লড়াইয়ের পথে রাজ্যের প্রাক্তন উপাচার্যদের সংগঠন এডুকেশন ফোরাম। আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা।
রাজ্যপাল নন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করতে বিধানসভায় বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ভোটাভুটিতে সেই বিল পাসও হয়ে যায়। পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৭, আর বিপক্ষে ৫৫। কবে? ২০২২ সালে জুনে। এদিকে যেদিন বিধানসভায় পাস হয়, তার পরের দিনই নিয়মাফিক বিলটি রাজ্যভবনে পাঠিয়ে দেয় রাজ্য় সরকার। এখন রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই, আইনে পরিণত হবে বিলটি। কিন্তু তেমনটা তো হয়ইনি, বিলটি ফেরতও পাঠাননি রাজ্যপাল। এদিন এডুকেশন ফোরামের তরফে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘আমার মেনশন করব। প্রস্তুতি নিচ্ছি, আলাপ-আলোচনা করছি। এখানে আমি কী বলছি, আমরা কী বলছি, সেটা নয়। সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারা কী বলছে? সেটা রাজ্যপালকে আমরা আর একবার স্মরণ করিয়ে দিলাম’।