স্পেন সফরে থাকাকালীন পুনরায় বাঁ পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। কলকাতায় ফিরেই চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শেই প্রায় এক মাস ধরে বাড়িতেই আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে না গিয়ে বাড়ি থেকেই রাজ্য প্রশাসনের যাবতীয় কাজের তদারকি করছেন। শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে জাগো বাংলার শারদ সংখ্যা প্রকাশ করতে গিয়ে সবটা জানালেন মমতা।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে ভর করে কোনও রকমে হেঁটে এসে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমি ওখানে যেতাম। কিন্তু পায়ে একটা বড় সংক্রমণ হয়ে গেছিল। পনেরো দিন ধরে লড়াই করতে হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মধ্যে থেকে লড়াই করে বেঁচে আছি। হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেছিলাম। তারপর বার্সেলোনায় গিয়ে চোট পেয়েছি। তারপরেও ওখানে কাজ করে গেছি।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, কলকাতায় ফিরেই তিনি ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। তারপর পায়ে একটা অস্ত্রোপচার হয়। সেই অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতস্থানে প্রচণ্ড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। তারপর স্যালাইনের চ্যানেল করে আইভি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি মানসিকভাবে সুস্থ, শারীরিকভাবেও সুস্থ। পায়ের ব্যথাটা আশা করি ক’দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।’