সিকিমের ভয়াবহ বন্যা-পরিস্থিতির প্রভাব এসে পড়েছে এ রাজ্যেও। কার্যত বিপর্যস্ত দশা শিলিগুড়ির জল প্রকল্পের। শুক্রবার শিলিগুড়ির সর্বত্র পানীয় জল সরবরাহ হয়নি। পুজোর মুখে কার্যত জলসংকটে অতিষ্ঠ শহরের একাংশ। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ঝাঁপিয়েছে পুরসভা ও পিএইচই। আজ, শনিবার ক্যানেল থেকে পলি তোলা শুরু হবে। জানা যাচ্ছে, সিকিম বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে জল প্রকল্পে। ওই বিপর্যয়ের পর ইনটেকে মজুত জল পরিস্রুত করে শহরে সরবরাহ করা হয়েছে। সেই জল প্রায় শেষ। তিস্তা থেকে প্রয়োজনীয় জল মিলছে না। মহানন্দা নদীর জলস্তরও কম। তাছাড়া পলি পড়ে ক্যানেলের একাংশ ভরাট হয়েছে। ইনটেক পয়েন্টে জমেছে আবজর্না। তাই শহরে জল সরবারহ ব্যাহত হচ্ছে। সঙ্কট মেটাতে ২১টি ট্যাঙ্ক নামানো হয়েছে। কিছু জায়গায় ভাবা হচ্ছে ডিপ টিউবওয়েলর বসানোর কথাও।
প্রসঙ্গত, গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ কাছ থেকে উৎপত্তি তিস্তা-মহানন্দা লিঙ্ক ক্যানেলের। এই ক্যানেলের উপর নির্ভরশীল শিলিগুড়ি শহরের জল প্রকল্প। প্রকল্পের ইনটেক পয়েন্ট ও প্লান্ট ফুলবাড়িতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিম বিপর্যয়ের জেরে প্রায় একসপ্তাহ ধরে তিস্তা-মহানন্দা লিঙ্ক ক্যানেলের লকগেট বন্ধ। ফলে ক্যানেলের একাংশ শুকিয়ে গিয়েছে। তিস্তা থেকে এখনও সংশ্লিষ্ট ক্যানেলে জল ছাড়া শুরু হয়নি। যার জেরে শহরে সরবরাহ করার মতো জল ইনটেক পয়েন্টে নেই। একইসঙ্গে মহানন্দার নোংরা জল, আবর্জনা ইনটেক পয়েন্টে ভরে গিয়েছে। এর জেরে এদিন শহরের ১, ২, ৪, ৫, ১০ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জল সরবরাহ হয়নি। পরে মেয়র পারিষদ বলেন, পুরসভায় পানীয় জলের ২১টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। প্রতিটি তিন হাজার লিটারের। সেগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দু’দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। লিঙ্ক ক্যানেলে তিস্তা নদীর জল ঢুকবে বলে আশাবাদী সেচদফতরের ইঞ্জিনিয়াররা।