বাংলায় প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলায় শিল্পায়নে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শিল্প গড়াই যে পাখির চোখ, তাঁর সরকারের আগের দু’দফায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলে এখন আর কথায় কথায় বনধ ডাকা হয়না এই রাজ্যের বুকে। থেকে থেকেই হয় না হরতাল বা শ্রমিক ধর্মঘট। যার ফলে বাংলা এখন অনেকটাই শিল্পবান্ধব। সামনের দিকে এগোচ্ছে রাজ্য। সঙ্গে কলকাতাও এগিয়ে চলেছে। তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিও দেশের অনান্য অনেক শহরের থেকে বেশ ভাল। আর এই সব কিছুই এখন কলকাতাকে দেশ ও বিদেশের বাজারে তুলে ধরেছে। সেই কারণেই আসছে নতুন নতুন সংস্থা। চাকরি পাচ্ছেন বহু যোগ্য তরুণ-তরুণী। আর এরই প্রমাণ মিলেছে কলকাতায় অফিস স্পেস লিজ নেওয়ার হিড়িকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কলকাতায় অফিস স্পেস লিজ নেওয়ার পরিমাণ বেড়ছে ৬০ শতাংশ। ভারতের অন্যতম শীর্ষ রিয়েল এস্টেট পরামর্শদাতা সংস্থা সিবিআরই-র রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে কলকাতায় যে পরিমাণ অফিস স্পেস লিজ নেওয়া হয়েছিল, তার থেকে ৬০ শতাংশ বেশি জায়গা লিজ নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। শুধু যে অফিস স্পেস ভাড়ার হিড়ির বেড়েছে তাই নয়, সঙ্গে ভাড়াও বেড়েছে ১০ শতাংশ। এমনটাই বলছে অপর এক সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়া। তাদের রিপোর্ট বলছে গত ত্রৈমাসিকে প্রতি বর্গফুট অফিস স্পেস পিছু মাসিক গড় ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৩৮.১ টাকা।
এদিকে, সিবিআরই-র রিপোর্ট বলছে এবছরের জুলাই, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে ০.৩ মিলিয়ন বর্গফুট অফিস স্পেস লিজ নেওয়া হয়েছে কলকাতায়। ২০২২ সালের এই তিন মাসে কলকাতায় ০.২ মিলিয়ন বর্গফুট অফিস স্পেস লিজ নেওয়া হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এই ত্রৈমাসিকে সব থেকে বেশি অফিস স্পেস লিজ নিয়েছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। মোট অফিস স্পেসের ৫০ শতাংশই লিজ নিয়েছে টেক সংস্থাগুলি। এরপরই তালিকায় আছে গবেষণা, কনসাল্টেন্সি এবং অ্যানালিটিক্স সংস্থাগুলি। তারা লিজ নিয়েছে ১৬ শতাংশ অফিস স্পেস। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের সংস্থা লিজ নিয়েছে ১৪ শতাংশ অফিস স্পেস।