তফসিলি জাতির হওয়ায় তাঁকে নানারকম কটাক্ষ শুনতে হতো বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী–সহ তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এই বিষয়টি নিয়ে মামলা করেছিলেন প্রশান্ত মেশরাম। যিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ বিভাগের রেজিস্ট্রার। এখন তিনি অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন। কিন্তু জাতিবিদ্বেষ নিয়ে মামলা ঠুকেছিলেন। এই মামলার শুনানি ছিল আজ, শুক্রবার। সেখানে আগাম জামিন পেলেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে আগাম জামিন পেলেন বিশ্বভারতীর বাকি তিন আধিকারিক প্রশান্ত ঘোষ, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তন্ময় নাগ।
আদালত সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল সিউড়ি আদালতে। আর সেখানেই হাজির ছিলেন না উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আজ আদালতে হাজির হননি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেনি সিউড়ি আদালত। বাকি তিনজনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে সিউড়ি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁরা তিনজনের কেউই রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না। সেটা যেতে গেলে লাগবে অনুমতি।
উপাচার্য কি গ্রেফতার হতে পারেন? সিউড়ি আদালত সূত্রে খবর, এখনই এমন কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। আদালতে সময় চেয়ে নেওয়া যেতেই পারে। একপক্ষের বক্তব্য শুনে রায় দিতে পারে না আদালত। তবে এই মামলার সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যর জামিন মঞ্জুর হয়নি আদালতে। কারণ উনি আজ, শুক্রবার হাজির ছিলেন না সিউড়ি আদালতে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই পরের শুনানিতে সেটা নিয়ে নির্দেশ দেবেন বিচারক।’ সেখানেও যদি তিনি অনুপস্থিত থাকেন বা উপযুক্ত বক্তব্য তুলে ধরতে না পারেন তাহলে যা সিদ্ধান্তে নেওয়ার সেটা নেবে সিউড়ি আদালত।