আরও একবার নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে। কয়েকদিন আগেঈ আট বছর বয়সী একটি দলিত মেয়েকে একটি গ্রামে একজন অপরিচিত লোক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ এসেছিল। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাবন থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির বাবার দায়ের করা পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী, রবিবার তিনি তাদের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ত্রিগুন বিসেন জানান, মেয়েটি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাকে টফি দেওয়ার অজুহাতে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে পালিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিন্তু এই নিয়ে বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি।
শুধু তাই নয়, প্রয়াগরাজে পুলিশ দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন এক ৩৫ বছরের মহিলা। সে প্রসঙ্গেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মগরাহাটে এক দলিত নাবালিকা যৌন নিপীড়নের শিকার হন। বিন্দুমাত্র দেরি না করে বিরোধী দলনেতা সেখানে উপস্থিত হন ও এক্সে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরব হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। “মাত্র কয়েকদিন আগে, মথুরায় একটি ৮ বছর বয়সী দলিত মেয়েকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল, উজ্জয়নে ১২ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং প্রয়াগরাজে একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের দ্বারা ৩৫ বছর বয়সী এক দলিত মহিলা ধর্ষিত হয়েছিল। সেদিন চুপ ছিলেন কেন শুভেন্দু অধিকারী? এরকম একতরফা প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণ কী? পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অপরাধী সাজা পাবেই”, স্পষ্ট জানিয়েছে তৃণমূল।