ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যবাসীর জন্য একের পর এক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথীর মতো প্রকল্পগুলি। রয়েছে ‘নির্মাণ কর্মী প্রকল্পও’। তবে ‘লেবার কার্ড’ নামেই বেশি পরিচিত এই প্রকল্পটি। নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য শুরু করা হয়েছে এই প্রকল্পটি। যে সকল নির্মাণ কর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন তাদের পরিবারকে আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
রাস্তা, রেল, ট্রামলাইন, বিমানবন্দর, বাড়ি তৈরি, সেচ ও নিকাশি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ ব্যাবস্থা, টেলিফোন ও টেলিফোনের টাওয়ার লাগানো, জলাশয়, জলাধার, সুড়ঙ্গ বানানো, পাইপ লাইন, তেল ও গ্যাস সংস্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রের যাবতীয় নির্মাণ, সংস্কার ও রুক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত কর্মীরা এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। ১৮-৬০ বছরের মধ্যে যে সকল নির্মাণ কর্মী বাংলার স্থায়ী বাসিন্দা তারা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা নির্মাণ কর্মীদের শেষ হওয়া বছরে ৯০ দিন কাজ করা থাকলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। এই প্রকল্পে যে সকল নির্মাণ কর্মীর নাম নথিভুক্ত রয়েছে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য রাজ্য সরকার বাৎসরিক ২,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেবে।
নির্মাণ কর্মীর সাধারণ মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা ও কার্যক্ষেত্রে দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্যু হলে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে। দুর্ঘটনায় আহত হলে নির্মাণ কর্মীকে এককালীন ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা সাহায্য করা হবে। কার্যক্ষেত্রে কাজ করার সময় দুর্ঘটনার জন্য কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে সরকার নির্মাণ কর্মীকে সাহায্য করবে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে। এছাড়াও বাড়ি তৈরি করতে চাইলে ৫ শতাংশ সুদে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত লোন দেবে সরকার। তবে সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল ৬০ বছর বয়সের পর ৫০০-৮৭০ টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হবে নির্মাণ কর্মীকে সরকারের পক্ষ থেকে। মহিলা নির্মাণ কর্মীরা গর্ভবতী অবস্থায় দুবার তিন হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন।