সামনেই দেশের লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। যা চব্বিশের ভোটযুদ্ধের আগে একপ্রকার ‘সেমিফাইনাল’। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা এবং মিজোরাম— এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সাংবাঠিক বৈঠকে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ছত্তীসগঢ় বাদে বাকি চার রাজ্যে এক দফাতে ভোট হবে। আর তার পর পরই এক বিখ্যাত সংস্থা এই পাঁচ রাজ্যের জনমত সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চারটিতেই ভরাডুবি হতে পারে বিজেপির। বড়সড় উত্থান হতে পারে কংগ্রেসের।
যেমন মধ্যপ্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত রয়েছে সমীক্ষায়। তবে সেই লড়াইয়ে সামান্য হলেও এগিয়ে কংগ্রেস। এবিপি সি ভোটার সমীক্ষা অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশে ২৩০ আসনের মধ্যে ১১৩ থেকে ১২৫টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। বিজেপি পেতে পারে ১০৪-১১৬টি আসন। রাজস্থানে এই মুহূর্তে ক্ষমতায় কংগ্রেস। সমীক্ষা বলছে, গত কয়েক দশকের রীতি বজায় রেখে এবারেও মরুরাজ্যে ক্ষমতা বদল হবে। কংগ্রেসের হাত থেকে রাজস্থান ছিনিয়ে নেবে গেরুয়া শিবির। সেখানে বিজেপি পেতে পারে ১২৭-১৩৭ আসনে। কংগ্রেস আটকে যেতে পারে মাত্র ৫৯-৬৯ আসনে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র রাজস্থানেই সুখবর রয়েছে বিজেপির জন্য।
ছত্তিশগড়ে ফের কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে এবিপি সি ভোটার সমীক্ষা। তবে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। ৯০ আসনের ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস পেতে পারে ৪৫ থেকে ৫১ আসন। আর বিজেপির দখলে যেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৫টি আসন। অন্যদিকে, এবিপি সি-ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী তেলেঙ্গানায় এবার অঘটন ঘটাতে পারে কংগ্রেস। ১১৯ আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেতে পারে ৪৮-৬০টি আসন। কেসিআরের বিআরএস পেতে পারে ৪৩-৫৫ আসন। মাত্র ৫-১১ আসন পেতে পারে বিজেপি। মিজোরাম বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হওয়ার ইঙ্গিত সমীক্ষায়। সেরাজ্যে ৪০ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ১০-১৪ আসন। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট পেতে পারে ১৩-১৭ আসন। আর ZPM পেতে পারে ৯ থেকে ১৩ আসন।