দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে রায় দিয়েছিলেন তিনি। যেই রায় একপ্রকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই গিয়েছিল। আর তাই মোদী সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অবসরের পর এবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন উড়িষ্যা হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। পরোক্ষে তাঁর অভিযোগ, দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে রায় দেওয়ার পরই দিল্লি হাই কোর্ট থেকে তাঁকে বদলি করে দিয়েছিল কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, গত অগস্টেই অবসর নিয়েছেন উড়িষ্যা হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস মুরলীধরণ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেন তিনি। মাঝরাতে তাঁর বাসভবনে বসে আদালতের এজলাস। সেসময় দিল্লিতে দাঙ্গা পরিস্থিতি। তাই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির বন্দোবস্ত করান তিনি। বিচারপতি মুরলীধরণের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সেদিন বসেছিল। ওই বেঞ্চ মাঝরাতেই দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেয়, যেভাবেই হোক দাঙ্গা কবলিত এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে হবে। দরকারের সম্ভাব্য সব পন্থা অবলম্বন করুক দিল্লি পুলিশ।
আসলে ওই দাঙ্গা পরিস্থিতির জন্য সেসময় অনেকেই দিল্লি পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন। বিচারপতি মুরলীধরণের বেঞ্চের রায়েও সেটা প্রতিফলিত হয়। তার পরই বিচারপতিকে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টে বদলি করে দেওয়া হয়। স্পষ্টতই, ওই রায়ের জন্য কেন্দ্রের রোষানলে পড়েন বিচারপতি মুরলীধরণ। অবসরের পর সেই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না কেন ওরা রেগে গেল। অন্য কোনও বিচারপতি আমার জায়গায় থাকলেও একই কাজ করতেন। দিল্লি হাই কোর্টে আমার যে কোনও সহকর্মী একই কাজ করতেন। জানি না তাতে সরকারের রেগে যাওয়ার কী ছিল?’