বক্স অফিস ফের কেঁপে উঠেছে তাঁর নামে। চলতি বছরে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখ খান অভিনীত দুটি ছবি (পাঠান ও জওয়ান)। তারপর থেকেই আশঙ্কা করা যাচ্ছে, কিং খানের উপর আসতে পারে মৃত্যুর হুমকি। আর তাই মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে অভিনেতাকে দেওয়া হল ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা। এক্ষেত্রে শাহরুখ সর্বদা তাঁর দেহরক্ষী হিসেবে ছয় পুলিশ কমান্ডো পাবেন। সশস্ত্র দেহরক্ষীরা থাকবেন মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সুরক্ষা ইউনিট থেকে। ভারত-জুড়ে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কিং খানের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে থাকবে এমপি-৫ মেশিনগান, একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গ্লক পিস্তল। শুধু তাই নয়, শাহরুখের বাসভবন মন্নতেও পাহারা দেবে ৪ জন সশস্ত্র পুলিশ। তবে নিরাপত্তার এইখরচ বহন করতে হবে শাহরুখ খানকেই। ভারতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা যায় না, যে কারণে এটি পুলিশ নিরাপত্তা হতে হবে। গোয়েন্দাদের দাবি, পরপর দুটি হিট দেওয়ার পর শাহরুখের জীবনের হুমকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভিআইপি নিরাপত্তার স্পেশ্যাল আইজিপি দিলীপ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, “আসন্ন এবং সম্ভাব্য হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, সিনে অভিনেতা শাহরুখ খানকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তার এসকর্ট স্কেল প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ইউনিট কমান্ডারদের অর্থপ্রধান করবেন অভিনেতা। পরবর্তী উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশ এবং পর্যালোচনা কমিটির সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। তাঁর সফর চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাই নিজেদের এখতিয়ারে থাকুন।” শাহরুখ খানের আগে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যার সঙ্গে জড়িত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সলমন খানকে হুমকি দিলে, তাঁরও নিরাপত্তা এক্স বিভাগ থেকে ওয়াই প্লাসে আপগ্রেড করা হয়েছিল। এবার সলমনরে মতো সুরক্ষা পাবেন শাহরুখ খানও। কাজের সূত্রে, চার বছর লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন শাহরুখ। ২০২৩ সালে যশরাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্সে যোগ দেন পাঠান দিয়ে। যা দেশে ৫২০ কোটি ও বিশ্বব্যপী ১০০০ কোটি আয় করে। এরপর সেপ্টেম্বরে মুক্তি পায় জওয়ান। ইতিমধ্যেই এই সিনেমা দেশে ৬৩০ কোটি ছুঁইছুঁই। বিশ্বব্যপী আয় পার করেছে ১১০০ কোটির গণ্ডি। এরপর রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘ডাঙ্কি’ মুক্তি পাবে ২২শে ডিসেম্বর। সে ছবির মুখ্যচরিত্রেও রয়েছেন শাহরুখ। এটিও ব্লকবাস্টার হবে বলেই মনে করছেন ফিল্ম-কারবারিরা।