এক সময় বিজেপিতে যোগ দিলেও বহুকাল আগেই মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই পদ্ম সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। এবার সেই রিমঝিম মিত্রকেই দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চে। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। গতকাল ধর্না মঞ্চ থেকে রিমঝিম বলেন, ‘আজকে আমি কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে আসছি, এরকম মনোভাব নিয়ে আসিনি। আপনি যেই দলের সদস্য হোন না কেন, যদি গরিব মানুষের টাকা যারা আটকে রাখে তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুলতে পারেন, তাহলে তাদের আমি মানুষ বলব না। এখনও আমার মধ্যে কিছু মনুষ্যত্ব আছে, আমার বিবেক আমাকে এই মঞ্চে ডেকে এনেছে। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মঞ্চে উপস্থিত সকলকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই’।
গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি নিজেও কী জানে যে ওদের দলে আর কে আছে আর কে নেই? কারণ আমি যখন অ্যাক্টিভলি ঐ দলের জন্য তখন তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে বলতে শুনেছি, ‘আচ্ছা ঐ অভিনেত্রী কি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন?’ আমি যাদের নেতৃত্বে কাজ করছি, তাঁরাই যদি স্বীকৃতি না দেন, তাহলে কেন করছি?’ রিমঝিমের দাবি, ‘আমার মনে হয় না বিজেপি গরিব মানুষদের টাকার জন্য লড়াই করে তা নিয়ে আসতে পারবে কারণ তাঁরা অনেক ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত।’ বিজেপির বিরুদ্ধে রিমঝিমের অভিযোগ, ‘বাংলার বিজেপি কার নেতৃত্বে কাজ করবে, সেটা নিয়েই ব্যস্ত। ততক্ষণ গরিব মানুষদের টাকা যারা উদ্ধার করতে চাইছেন, সেই তৃণমূল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করতে চাইব, যদি তাঁরা সুযোগ দেন। বিজেপির এজেন্ডা এখনও ক্লিয়ার নেই। আমি তো কাজ করেছি, আমি জানি।’
এরপরেই তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের বলে দেওয়া হত, রাজনৈতিক বিষয়ে যাওয়ার দরকার নেই, ব্যক্তিগত আক্রমণে চলে যাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করো। এটা কোনও পার্টির পলিটিক্যাল লাইন হতে পারে? আমার মতো কর্মীদের দিয়ে বারংবার এগুলো বলানো হয়েছে। আমার মতো অনেকেই মেনে নিতে না পেরে বেরিয়ে এসেছে।’ রিমঝিমের প্রশ্ন, ‘ব্যক্তিগত আক্রমণই যদি ওদের অ্যাজেন্ডা না হত তাহলে কেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেরদিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমন পেলেন। কেন? ওদের ভাষায় মুদ্দা ঘোরানোর জন্য? বাংলার মানুষ অত বোকা নয়। বাংলার অনেক মানুষ ওদের হয়ে কাজ করতে গিয়েছিল, কিন্তু তারা বোকা নন। তাই আবার ঘুরে চলে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আমাকে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শীর্ষনেতৃত্ব অনুমতি দেন, তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’