আজ, রবিবার সকালে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্রদের বাড়িতে হানা দেয়ে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। এবার এপ্রসঙ্গে মোদী সরকার তথা বিজেপিকে কড়া ভাষায় বিঁধল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তারা জানাল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধর্নার পাল্টা হিসাবে সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে, তাই নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। এ ভাবে তৃণমূলকে দমানো যাবে না।’’
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে মন্ত্রী ফিরহাদের চেতলার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তার পর জানা যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদনের ভবানীপুরের বাড়িতেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তল্লাশি করতে গিয়েছেন। পুর নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তে নেমে এই হানা চলে। তার পর বেলা যত গড়িয়েছে, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধানের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কৃষ্ণনগর পুরসভাতেও সিবিআইয়ের একটি দল গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হঠাৎ অতি সক্রিয়তার নেপথ্য রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, অভিষেকের কর্মসূচিতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে দিল্লি গিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। এর পর বৃহস্পতিবার থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের দাবি, তারই পাল্টা হিসেবে আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নামাল পদ্মশিবির।
এদিন কুণাল সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না হিট। বিজেপির উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে, তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘এখন নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল এজেন্সিকে। বিজেপির আত্মরক্ষার অস্ত্র।’’ এর মধ্যে নিউ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি হয়েছে। সব মিলিয়ে, পুরো বিষয়ের নেপথ্য বিজেপির হাত দেখছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতে সমাজমাধ্যমেও বার্তা দিয়েছে তারা। ‘‘জনগণের শক্তি ক্ষমতায় থাকা মানুষের চেয়ে শক্তিশালী! আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না!’’, সাফ জানিয়েছে ঘাসফুল-নেতৃত্ব।