নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে খুন, ধর্ষণ— যোগী আদিত্যনাথের আমলে বারবারই প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের নারী সুরক্ষা। যোগী রাজ্যে মহিলা ও শিশুদের ওপর সংঘটিত অপরাধের অন্ত নেই। এবার সেখানে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করলেন এক বৃদ্ধ। যদিও কিছুক্ষণ পরেই উদ্ধার হয় বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলার ফরিদপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে। ওই গ্রামেরই একটি গাছ থেকে বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম শের মহম্মদ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে এবং অনুশোচনায় আত্মঘাতী হয়েছে ওই বৃদ্ধ। যদিও এটি শুধুমাত্র আত্মহত্যার ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটি প্রতিদিনকার মতোই বাড়ির বাইরে খেলছিল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এবং তাকে বাড়ির আশেপাশে খুঁজতে শুরু করেন। কোথাও না শেষে শের মহম্মদের বাড়ি গিয়ে তারা দেখতে পান তিনি শিশুটির ওপর যৌন অত্যাচার চালাচ্ছে। তা দেখার পরই রীতিমতো চমকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। এদিকে, ওই শিশুর পরিবারের সদস্যদের দেখেই ভয়ে শের মহম্মদ সেখান থেকে চম্পট দেন।
এরপরই পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। পাশাপাশি থানায় তাঁরা অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শের মহম্মদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের রুজু করে। এরপরই গ্রামের একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
তবে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না তা জানার জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা এই কুকীর্তি দেখে ফেলায় বৃদ্ধ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর মধ্যে অনুশোচনাও কাজ করছিল। আর সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।