রাজভবনের অদূরে কত দিন ধর্না-অবস্থান চালাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? শুক্রবার, ধর্নার দ্বিতীয় দিনে নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যদি পুজোর পরেও কলকাতায় ফেরেন, তা হলে তিনি সেই পর্যন্ত ধর্নায় বসে থাকবেন! পুজোর দিনগুলিতেও। শুক্রবারের ধর্না মঞ্চের পরিপার্শ্ব দেখে স্পষ্ট, তৃণমূলও ধরে নিচ্ছে টানা ধর্না চালাতে হতে পারে। এবং সেটা টানা-ই।
দিল্লি থেকেই বৃহস্পতিবারের ‘রাজভবন চলো’র ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু রাজ্যপাল তার আগেই কলকাতায় থেকে কেরল চলে যান। সেখান থেকে তিনি যান দিল্লি। দিল্লি থেকে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখে আবার দিল্লিতেই ফিরে যান বোস। আর মিছিলের শেষে অভিষেক আচমকাই ঘোষণা করে দেন, তিনি ধর্নায় বসলেন। যা তৃণমূলের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল না।
ফলে তড়িঘড়ি মঞ্চের পাশে অভিষেকের রাত্রিবাসের জন্য তাঁবু বানানো হলেও মূল মঞ্চের সামনে কোনও পোক্ত ছাউনি ছিল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যে সমস্ত কর্মী-সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে বসেছিলেন, তাঁদের আচমকা বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছিল। শুক্রবার দেখা গেল সেই ছাউনির বন্দোবস্ত হয়েছে। ইস্পাত এবং বাঁশের কাঠামোর উপর খান তিনেক আস্তরণের ত্রিফল ফেলা হয়েছে। মঞ্চে রাতে যে নেতৃত্ব থাকবেন, তাঁদের জন্য মঞ্চ পর্দা দিয়ে ঘেরার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই জমায়েত আসতে শুরু করেছিল ধর্নাস্থলের দিকে। এক দিকে গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলের মুখ, অন্য দিকে টেলিফোন ভবন পর্যন্ত ছড়িয়েছিল ভিড়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের থেকে শুক্রবারের ছবি কিছুটা আলাদা। কারণ, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। যাতে সরাসরি সম্প্রচার চলছে মঞ্চের কর্মসূচির। বক্তৃতার। গানের।