বাংলার প্রাপ্য অর্থ আটকানো বুমেরাং হচ্ছে না তো? এবার এই প্রশ্ন উঠেছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই। ১০০দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার অর্থ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই দুই প্রকল্পে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টাকা আটকানোর দাবিতে দিল্লিতে দরবার করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা। কিন্তু শুধুমাত্র তৃণমূলকে শায়েস্তা করার জন্য সাধারণ মানুষের টাকা আটকাতে যে কৌশল নিয়েছে বিজেপি সেটা বুমেরাং হবে বলেই মত গেরুয়া শিবিরের একাংশের।
দলের আদি নেতারা মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে লড়াই হোক। সেজন্য সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা হোক। কিন্তু এরাজ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে হাতে না মেরে ভাতে মারার কৌশল ঠিক হচ্ছে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। কোথাও দুর্নীতি হলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু অর্থনৈতিক অবরোধ করে বহু গরিব মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক নয় বলেই মনে করছে দলের একাংশ।
এবিষয়ে বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক তথা দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি সামসুর রহমান ইমেল করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। যারা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, কিন্তু সকলের টাকা বন্ধ করে দিলে গ্রামের মানুষরা না খেতে পেয়ে মারা যাবে বলে চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপির এই আদি নেতা।