কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডে ছয় অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা রদ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই পরিবর্তে মূল দুই অভিযুক্তকে ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১৩ সালে বারাসতের কামদুনিতে গণধর্ষণের ঘটনার ১০ বছর কেটে গেছে। এতদিন পর কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার নিষ্পত্তি ঘটল। ঘটনার আড়াই বছরের মাথায় ৬জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। ২ জনের ফাঁসির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বাকিদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নিম্ন আদালতের সাজা মুকুবের আবেদন জানানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। শুক্রবার সেই মামলায় রায় দিল হাইকোর্ট।
ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, অভিযুক্ত সইফুল আলি ও আনসার আলির ফাঁসির সাজা রদ করা হল। তার বদলে তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল। সেইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করল হাইকোর্ট।
বাকি চার অভিযুক্ত আমিন ইসলাম আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই চার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল, তার সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর। যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই ১০ বছর জেল খেটেছে, তাই তাদের খালাস করা হল। তবে ১০ হাজার টাকা বন্ডে মুক্তি পাবে চারজন।
২০১৩ সালের ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে কামদুনির বাড়িতে ফিরছিলেন রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি। অভিযোগ, বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে রাস্তা থেকে জোর করে পাঁচিল ঘেরা একটি ঘরে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানেই দফায় দফায় চলে গণধর্ষণ।