এবার ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা খেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন হওয়া সত্বেও কেন ১২ জনকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য? নোটিস দিয়ে বোসের কাছে এর জবাব তলব শীর্ষ আদালত। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্টের জবাব দিতে বলে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপাচার্য নিয়োগে জট কাটাতে এবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে বৈঠকে বসারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত রাজ্যপালের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, মুখ্যমন্ত্রীর সময় সুযোগ মতো বৈঠকের সময় এবং তারিখ ঠিক করে তাঁকে কফি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের দুই সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে যে কোনও সময় আলোচনা হতে পারে। তা না হওয়াটাই দুর্ভাগ্যজনক। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর কোনও নিয়োগ করতে পারবেন না রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, এদিনের শুনানিতে রাজ্যপালের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ভি কে তিওয়ারির নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আপত্তি জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর সম্পর্কে হাইকোর্টের কী অবস্থান, তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিমকোর্টকে আবেদন করেন সিংভি। আবার, রাজ্যপালের আইনজীবীর তরফে রাজ্যের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে পাল্টা আপত্তি করা হয়। দু’পক্ষকেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী নাম দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।