প্রকৃতির রোষে বিপর্যস্ত সিকিম। তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক জায়গায়, পাহাড়ি পথে দেখা দিয়েছে ধস-ভাঙন। এমনকী বাংলা ও সিকিমের সীমানায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভেঙে গিয়েছে। বিপর্যয়ের জেরে এখনও পর্যন্ত ৬ জওয়ান সহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে প্রশাসন। এর জন্য দায়ী কে বা কারা? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এবার খোদ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করলেন, বাঁধ সঠিকভাবে নির্মাণ হয়নি। সে কারণেই এই বিপুল জলরাশি বাঁধকে ফাটিয়ে গোটা উত্তর সিকিম ভাসিয়ে দিয়েছে। যদিও কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার নির্দিষ্ট কোনও কারণ সঠিকভাবে এখনও পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বেশ কিছু জায়গা ঘুরেছেন। পরিস্থিতির দিকে তিনি সম্পূর্ণ নজর রাখছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও প্রেম সিং তামাংয়ের কথাবার্তা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী অত্যন্ত বিপর্যস্ত এলাকাতে বৃহস্পতিবারও নামতে পারেনি। অন্য একটি সূত্র থেকে এই কথা জানা যাচ্ছে। তবে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এবার বিতর্ক উসকে দিলেন। উন্নতমানের জিনিসপত্র দিয়ে এই চুংথাং বাঁধ তৈরি করা হয়নি। এই বাঁধে নিম্নমানের নির্মাণকাজ হয়েছে। সে কারণেই জলের ধাক্কায় এটি ভেঙে গিয়েছে। এমনই অভিযোগ তাঁর। উল্লেখ্য, লোনক হ্রদ থেকে বিশাল পরিমাণ জল এসে এই বাঁধে পড়ে। বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা আর ছিল না। বিশাল জলের ধাক্কায় বাঁধের পাঁচিল ভেঙে যায়। তারপরেই বিপুল জলরাশি ওপর থেকে নেমে আসে।