ফের বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার। বিজেপির জমানায় দেশজুড়ে ক্রমশই বেড়ে চলেছে কর্মী সংকোচন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই নিম্নমুখী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার কর্মী সংখ্যা। একদিকে নেই নিয়োগ, অন্যদিকে অবলুপ্ত হয়েছে বহু পদ। সরকারি তথ্য বলছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা মিলিয়ে বিগত ১০ বছরে প্রায় ৩ লক্ষ কর্মী সংকোচন হয়েছে। স্থায়ী কর্মীর বদলে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা। ২০১৩ সালে মোট কর্মীর সংস্থা ছিল ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার। ২০২২ সালের শেষে তা নেমে ১৪ লক্ষ ৩০ হাজারে এসে ঠেকেছে। ২০১৩ সালে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর হার ছিল ১৭ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ৩৬ শতাংশ।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেবল অলাভজনক সংস্থায় কর্মী সংখ্যা কমেনি, লাভজনক সংস্থার কর্মীও বিপুল হারে কমেছে। বিএসএনএলে কর্মী সংকোচন হয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার। স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কর্মী সংখ্যাও কমেছে, প্রায় ৬২ হাজার। এফসিআইয়ে কর্মী কমেছে ২৮ হাজার। ওএনজিসির কর্মী কমেছে ২১ হাজার। ওএনজিসি অথবা সেইলের মতো লাভজনক সংস্থাতেও কেন কর্মী সংকোচন হচ্ছে, পদের অবলুপ্তিই বা ঘটছে কেন, তা নিয়ে ঘনীভূত সংশয়। ২০২২-র জুনে মোদী ঘোষণা করেছিলেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। বিরোধীদের বক্তব্য, ৪৫ বছরে যেখানে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। সেখানে কেন সরকারি সংস্থার কর্মী সংকোচন করে, কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে।