আর মাত্র কয়েকদিন অপেক্ষা। কার্যত দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে দুর্গোৎসব। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন হল পুজোয় সাবেকিয়ানা খানিকটা ফিকে হয়েছে। শুরু হয়েছে থিমের ছড়াছড়ি। থিমের লড়াইয়ে শহরকে টক্কর দেয় শহরতলির পুজোগুলিও। পিছিয়ে নেই জেলার পুজোও। উত্তর ২৪ পরগণার তিন পুজোর থিম ঘিরে ইতিমধ্যেই জনমানসে আকর্ষণের সৃষ্টি হয়েছে। বারাসত চারেরপল্লির থিম দক্ষিণ ভারতের এক শিবমন্দির, অশোকনগর পাঁচেরপল্লির থিম কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ এবং গোবরডাঙার থিম তাজমহল। গোবরডাঙায় শহরের গড়পাড়া বিধান স্মৃতি সঙ্ঘ তৈরি করছে তাজমহল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কিছুটা হলেও মণ্ডপ তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে থিমের পুজো করে আসছে এই পুজো কমিটি। পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দির, দুর্গামন্দিরসহ বিভিন্ন থিম তৈরি করেছেন তাঁরা। এবার তাজমহল গড়ে দর্শনার্থীদের চমক দিতে তৈরি তাঁরা। তাজমহল তৈরি হচ্ছে বাঁশ, কাপড়, কাঁচ, প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে। মণ্ডপের গায়ে থাকবে সুদৃশ্য নকশা মণ্ডপে ঢোকার মুখেই থাকবে জল। পুজো উদ্যোগক্তারা বলছেন, যাঁরা তাজমহল দেখেননি, তাঁদের স্বাদ পূরণ করবে বিধান স্মৃতি সঙ্ঘের প্যান্ডেলে। দর্শনার্থীরা মোহিত হবেন বলেই আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি, অশোকনগরের পাঁচেরপল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ৬৮ তম বর্ষে পুজোর থিম কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ। কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হবে প্যান্ডেলে। পুজোর বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। কাপড়, বাঁশ, চট, প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। বারাসত শহরের চারেরপল্লী সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি প্রতি বছরই নিত্যনতুন থিমে নজর কাড়ে। ডাকবাংলো মোড়-সংলগ্ন অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে তাঁদের পুজো হয়। এ বছর পুজোর বাজেট ৩২ লক্ষ টাকা। এবারের থিম ‘দক্ষিণের শিবালয়ে আগমনীর সুর’। মণ্ডপ তৈরির দায়িত্বে আছেন গঙ্গানগরের বুবু সিংহ রায়। গত তিন মাস ধরে প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তাঁদের মণ্ডপে মানুষের ভিড় অনেক বাড়বে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।