বাংলায় প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলায় শিল্পায়নে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শিল্প গড়াই যে পাখির চোখ, তাঁর সরকারের আগের দু’দফায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলে এখন আর কথায় কথায় বনধ ডাকা হয়না এই রাজ্যের বুকে। থেকে থেকেই হয় না হরতাল বা শ্রমিক ধর্মঘট। যার ফলে বাংলা এখন অনেকটাই শিল্পবান্ধব। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিও দেশের অনান্য অনেক শহরের থেকে বেশ ভাল। আর এই সব কিছুই এখন কলকাতাকে দেশ ও বিদেশের বাজারে তুলে ধরেছে। সেই কারণেই কলকাতায় এবার ভিড় জমাচ্ছে দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। ভিড় জমাচ্ছে রিসার্চ, কনসাল্টিং এবং অ্যানালিটিক্সের নানা সংস্থা। এই সব সংস্থার আসার দৌলতেই কলকাতায় এখন বাড়ছে অফিসবাড়ির চাহিদা। বাড়ছে অফিসের ভাড়াও।
রিয়্যাল এস্টেট কনসাল্ট্যান্ট সিবিআরই এবং আবাসন সংক্রান্ত উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্ক চলতি সপ্তাহেই দুটি পৃথক পৃথক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনমাসে কলকাতায় ৩ লক্ষ বর্গফুট জায়গায় নতুন করে অফিসভাড়া দেওয়া হয়েছে। ওই তিনমাসে অফিসভাড়ার মূল্য ১০ শতাংশ বেড়েছে তার আগের বছরের একই সময়ের নিরিখে। এখন শহরের অফিস ভাড়ার অঙ্ক বর্গফুট পিছু গড়ে প্রায় ৩৮ টাকা। অফিসভাড়ার জন্য শহরে নতুন করে জায়গা প্রস্তুত রয়েছে ৮ লক্ষ বর্গফুট এলাকা। যে জায়গাগুলি অফিসঘর হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে, সেখানে ২৭ শতাংশ জায়গা নিয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরের সংস্থা। এই তথ্য নাইট ফ্রাঙ্ক তুলে ধরেছে তাদের সমীক্ষার রিপোর্টে। অন্যদিকে, সিবিআরই জানিয়েছে, কলকাতায় লিজে অফিস নেওয়ার চাহিদাও হু হু করে বাড়ছে। গত ১ বছরে সেই চাহিদা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা এই সব অফিস লিজ নিচ্ছে তাদের অর্ধেকই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।