আরও একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে কড়া সমালোচনায় বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিল্লী থেকে কলকাতায় ফিরে ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। অভিযোগ করলেন, ইডির সঙ্গে যে চিঠির আদানপ্রদান তাঁর হয়েছে, সেগুলি শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করছেন। তা হলে কেন্দ্রীয় সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা কী? প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। নিয়োগ মামলায় সম্প্রতি অভিষেককে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। অভিষেক হাজিরাও দিয়েছেন। টানা বেশ কয়েক ঘণ্টা ইডির দফতরে কাটিয়ে পরে বেরিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন, এই জিজ্ঞাসাবাদের নিট ফল শূন্য। অভিষেকের থেকে নথিপত্রও চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই সময়েই ইডির সঙ্গে তাঁর চিঠিপত্রের আদানপ্রদান হয়ে থাকবে। তবে সেই তথ্য শুভেন্দুর জানার কথা নয়। সেই কারণেই ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানান তৃণমূল সাংসদ।
প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেককে ইডির সমন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে, যা উত্তর দেওয়ার আমি ইডিকে দিয়ে দেব। আমার পরবর্তী পদক্ষেপ কী, তা আপনারা দেখতে পাবেন। এটি বিচারাধীন বিষয়, তাই এখানে এই নিয়ে কিছু বলব না।’’ অভিষেকের বাবা, মা এবং স্ত্রীকেও নিয়োগ মামলায় ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। সে প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘‘এটা তো নতুন কিছু নয়। অন্য মামলাতেও আমার পরিবারকে ওরা ডেকেছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছু করতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই এই মামলায় ডাকছে।’’ এর পরেই শুভেন্দুর প্রসঙ্গ টানেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কেস ডায়েরি দেখার অধিকার তো শুধু তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচারপতির থাকে। আমি ইডিকে যা লিখে পাঠাচ্ছি, শুভেন্দু সেটাই টুইট করছেন। তা হলে ইডির গ্রহণযোগ্যতা কী?’’ এবিষয়ে আগামী দিনে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। পাশাপাশি, এ নিয়েও কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।