বকেয়া আদায়ে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচিতে একাধিকবার পুলিশি অত্যাচারের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিতরা। বিশেষত মঙ্গলবার রাতে কৃষি ভবনে অবস্থানরত তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের দিল্লি পুলিশের তরফে রীতিমতো হেনস্তা করে বের করে দেওয়া, মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়ার মতো অমানবিক আচরণের ছবি দেখেছে গোটা দেশ।
সাক্ষাতের সময় দিয়ে অপেক্ষা করানোর পর শেষমেশ কেন্দ্রীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি কথা রাখেননি। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখাই করেননি তিনি। এর পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যাওয়া দলকে জোর করে কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে, যা যথেষ্ট নিন্দনীয়। এর প্রতিবাদে এবার রাজ্যে বড়সড় আন্দোলন সংগঠিত করে তুলছে শাসকদলের বিভিন্ন সংগঠন। ছাত্র থেকে যুব সংগঠন তো বটেই, টাউন স্তরেও প্রতিবাদ মিছিল, কুশপুতুল দাহ-র মতো কর্মসূচি চলবে আজ দিনভর।
মঙ্গলবার দিল্লি থেকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাতেই কয়েকটি জেলায় প্রতিবাদে নেমেছিলেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। কাঁথি শহরের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলে তৃণমূলের। দিল্লিতে কৃষি ভবনে হামলার প্রতিবাদে আগামী ৫ অক্টোবর রাজভবন অভিযানে নামছে তৃণমূল। দিল্লি থেকেই তার রূপরেখা ঠিক করে দিয়েছেন মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর নির্দেশ, কলকাতার সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে ২ হাজার করে কর্মী ও সমর্থক নিয়ে রাজভবনের উত্তর গেটে ওই দিন দুপুর ২ টায় পৌঁছতে হবে। সবমিলিয়ে দিল্লির পর এবার কেন্দ্র বিরোধী বিক্ষোভে ঝড় উঠতে চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।