শীর্ষ আদালতে আরও একবার পর্যুদস্ত হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সুপ্রিম কোর্টের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়ল তারা। শীর্ষ আদালত কার্যত বলেই দিল, ইডির তদন্ত প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হচ্ছে না। তদন্তকারী সংস্থার প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়া উচিত নয় বলে মত শীর্ষ আদালতের। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, ইডির প্রতিটি পদক্ষেপে স্বচ্ছ্বতা থাকা উচিত। নিরপেক্ষতার সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা উচিত নয়। “ইডির কোনওভাবেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়া উচিত নয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত সবসময় তথ্যনিষ্ঠ হতে হবে। এবং সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার নিদর্শন হওয়া উচিত”, পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে ইডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গুরুগ্রামের এক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির দুই ডিরেক্টর। অর্থ তছরুপের মামলায় এমথ্রিএম গ্রুপের দুই ডিরেক্টর বসন্ত বনসল এবং পঙ্কজ বনসলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সেই গ্রেফতারির পিছনে প্রতিহিংসা কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। প্রথমে তাঁরা মামলাটি করেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে। সেখানে সমাধান না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইডি এই মামলায় সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি। বসন্ত বনসল এবং পঙ্কজ বনসলকে ইডি গ্রেপ্তার করেছিল তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, স্রেফ তদন্তে অসহযোগিতা গ্রেফতারির যথেষ্ট কারণ হতে পারে না। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার ইডির ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ইডিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে মোদী সরকার, বারবার এই মর্মেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। এমতাবস্থায় শীর্ষ আদালতের এহেন পর্যবেক্ষণকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।