মধ্যপ্রদেশে এবার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁকে ঘোষণা করেনি বিজেপি। এমনকি, এখন পর্যন্ত দুই দফায় ৭৯টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হলেও, সেখানে তাঁর নাম নেই। আর তাই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোর চর্চা শুরু হয়েছে শিবরাজ সিং চৌহানকে নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ‘মামা’র বিদায় ঘন্টা বেজেই গেল?
প্রসঙ্গত, ভোপালে বিজেপি কর্মীদের ‘মহাকুম্ভে’ বক্তৃতা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ৪০ মিনিটের বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নাম একবারও নেননি তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সকলের চোখ স্থির ছিল সোমবার (২ অক্টোবর) গোয়ালিয়রের জনসভার দিকে। গতকাল মোদীর মুখে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নাম শোনা গিয়েছে বটে, তবে মাত্র একবার। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নাম নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারও। শুধু প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়া নয়, শিবরাজ সিং চৌহানের নিজের গলাতেও শোনা গিয়েছে বিদায়ের সুর।
সোমবার, গোয়ালিয়রের সভায় মোদী আসেন এক হুডখোলা জিপে চড়ে। সঙ্গে ছিলেন শিবরাজ এবং দলের রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা। মঞ্চে পাশাপাশি বসে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, ক্যামেরায় বিভিন্ন সময়ে তাঁদের যে অভিব্যক্তি দেখা গিয়েছে, সেটাই শিবরাজের বিদায় ঘণ্টা বাজার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেশ গম্ভীর দেখিয়েছে। একই সময়ে, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মুখে ছিল উদ্বেগের রেখা।
‘মামা’র নিজের গলাতেও শোনা গিয়েছে সম্ভাব্য বিদায়ের সুর। গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি দুটি জনসভা করেছেন। শনিবার খারগোনের এক জনসভায় তিনি বলেছেন, তিনি কোনও পদের প্রত্যাশী নন। তাঁর পদের প্রতি কোনও লোভ নেই। দেশের মহিলা ও শিশুদের জন্য কাজ করতে চান বলেই তিনি সরকার চালান। রবিবার সিহোরে আরেক জনসভায়, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি সরকার চালান না, একটি পরিবার চালান। তিনি বলেন, ‘আমার মত ভাই আপনারা পাবেন না। আমি চলে গেলে আপনারা আমার অভাব বোধ করবেন।’ ‘পদের প্রতি লোভ নেই’ আর ‘আমি চলে গেলে’ মন্তব্যদুটি রাজনৈতিক মহলের কারোরই নজর এড়ায়নি।