পঞ্চায়েত ভোটের আগে নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীনই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এবার দিল্লিতে লোক নিয়ে গিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা ছিনিয়ে আনব। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতোই হাজার হাজার লোক নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন অভিষেক। যার ফলে দিল্লির বুকে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে আবারও ভরপুর প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে তৃণমূল। আপাতত সব দলের কৌতূহলের কেন্দ্রে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এবং সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি।
বাংলার নির্বাচনী ময়দানে বিজেপিকে হারানো থেকে দিল্লিতে বিকল্প শক্তি ‘ইন্ডিয়া’ গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণে তৃণমূলের ওপর আলাদা করে নজর ছিলই; কিন্তু এবারের এই দিল্লি অভিযান, সব কিছুকে ছাপিয়ে তৃণমূলকে এনে ফেলেছে শিরোনামে। আর গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে সত্যাগ্রহের সময় অভিষেকের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের কর্মসূচির ওপর বিজেপির পুলিশি অভিযান তৃণমূলের গুরুত্বকেই আরও উচ্চতা দিয়েছে। তৃণমূল মানেই যে গণআন্দোলন, দিল্লির কর্মসূচি নতুন করে তা প্রমাণ করে দিয়েছে। আর তৃণমূল এই কেন্দ্রবিরোধী প্রতিবাদী আন্দোলনটা করছে দিল্লিতে, প্রতিপক্ষের মাঠে। সাহস, সাংগঠনিক দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস– সব দিক থেকেই এটা ইতিবাচক।