কার্যত তোলপাড় হয়ে উঠল রাজধানী। মঙ্গলবার বিকালে যন্তরমন্তর থেকে কৃষি ভবনের দিকে হেঁটে রওনা দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যা ৬টার কিছু পরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কৃষি ভবনের ভিতরে ঢুকতেই গোটা এলাকার দখল নেয় পুুলিশ। শোনা যাচ্ছিল, আটক করা হতে পারে তৃণমূল সাংসদদের। সেই জল্পনাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। রাত ন’টা নাগাদ অভিষেক-সহ পুরো প্রতিনিধি দলকে কৃষি ভবনের ভিতরে আটক করে দিল্লি পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় তাঁদের।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নের মন্ত্রকের ভিতরে রয়েছে এই কৃষি ভবন। এদিন সন্ধ্যায় অভিষেক, মহুয়া মৈত্র, শান্তনু সেন, দোলা সেনরা সেখানে যেতেই পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে। সূত্রের খবর, ঠিক রাত সাড়ে আটটার পর থেকে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে বদলাতে থাকে। কেন্দ্রীয় পুলিশবাহিনী ভিতরে ঢুকে যায়। যদিও তৃণমূলের সাফ দাবি ছিল, যতক্ষণ না তাঁদের ৪০ জন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দেখা করছেন তাঁরা ওই জায়গা থেকে উঠবেন না। কিন্তু, মন্ত্রকের অফিসাররা সাফ জানিয়ে দেন, পাঁচ জন প্রতিনিধির সঙ্গেই শুধু দেখা করবেন মন্ত্রী।হসূত্রের খবর, দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন মন্ত্রী। তারপর দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু, নিজেদের অবস্থানে তখনও অনড় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ওই অবস্থাতে মুহূর্তেই ঘিরে ফেলা হয় তৃণমূল সাংসদদের। কার্যত টেনে-হিঁচড়ে তাঁদের বের করে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সদর দফতর থেকে।
জানা গিয়েছে, মহিলা সাংসদদেরও হেনস্তা করেছে দিল্লী পুলিশ। রাত্রি ৯টা নাগাদ কৃষিভবনে অবস্থানরত তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে দিল্লী পুলিশ। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ধাক্কা মারতে মারতে বার করে পুলিশ। বীরবাহা হাঁসদা, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, অপরূপা পোদ্দারদেরও আটক করে তোলা হয়েছে দিল্লী পুলিশের প্রিজন ভ্যানে। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আটক করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দেরও। অভিযোগ, বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।