নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি নিজের পুরনো দল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ? বাঁকুড়াজুড়ে চলছে তেমনই গুঞ্জন। তৃণমূলের কটাক্ষ, ২০২৪-এ বিজেপি থেকে আর টিকিট পাওয়া যাবে না বুঝতে পেরে কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন সৌমিত্র। জল্পনার সূত্রপাত সৌমিত্র খাঁর সাম্প্রতিক এক কর্মসূচি থেকে। সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেসের ব্যানারে হওয়া এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তড়িৎকুমার কোলের স্মৃতিতে সিহর অঞ্চল কংগ্রেস কমিটির তরফে সম্প্রতি একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়েছিল। সেই মঞ্চে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের পাশেই দেখা যায় সৌমিত্রকে। ওই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সৌমিত্রর দলবদল নিয়ে উদ্ভূত হয়েছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একদা কংগ্রেসে ছিলেন সৌমিত্র। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে কোতুলপুর থেকে বিধায়কও হন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির থেকে টিকিটা পাওয়া যাবে না জেনে সৌমিত্র কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত পাঁচ বছরে সাংসদকে চোখের দেখাও দেখতে পাননি এলাকার মানুষজন। বিজেপি থেকে হয়ত আর টিকিট পাবেন না। যে কারণে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সকলকে গ্রহণ করে না। তাই তিনি হয়ত আবার পুরনো দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন।” যদিও সৌমিত্র নিজে দলবদলের জল্পনা স্পষ্ট উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “দলবদলের বিষয় নয়। এলাকার বর্ষীয়ান নেতা তড়িৎকুমার কোলের স্মরণসভা ছিল। রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়। অন্য রাজনীতিকরাও ছিলেন সেখানে। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলাম। এটা কোনও অন্যায় কাজ নয়।” তবে তাতে জল্পনা কমছে না। “কোনও যোগদানের বিষয় নয়। তড়িৎকুমার কোলের স্মরণসভা ছিল। সেখানে সাংসদ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সৌমিত্রকে। তবে যদি কেউ কংগ্রেসে যোগদান করতে চান, তাঁর জন্য সবসময় দরজা খোলা রয়েছে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলে ক্ষতি কী!”, জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা দেবু চট্টোপাধ্যায়।