গত জুন মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের। কানাডার খলিস্তানিদের দাবি, ভারতের মদতেই খুন করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। আর তাদের সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘আমি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করব, এই বিষয়ে যেন কানাডার সঙ্গে তাঁরা সহযোগিতা করেন।’ যা নিয়ে কানাডা ও ভারতের কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। এই পরিস্থিতিতে আগেই হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের তদন্তে কানাডাকে সাহায্য করতে হবে বলে ভারতকে অনুরোধ করেছিল আমেরিকা। এবার জানা গেল, ভারতের বিরুদ্ধে ট্রুডো সরকার যে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে তা খতিয়ে দেখতে ওটয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে ওয়াশিংটন।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথ্যু মিলারকে কানাডায় নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। যার উত্তরে মিলার বলেন, কানাডার আধিকারিকদের সঙ্গে আমেরিকা তদন্তে সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে। তারা যেন কানাডাকে এই ঘটনার তদন্তে সাহায্য করে সেই আর্জিও জানানো হয়েছে। তবে আমেরিকার এই অবস্থান খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি ভারত। মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, ‘আমেরিকা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলে তখন তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যরকম থাকে। আমরা যখন কানাডা নিয়ে কথা বলি তখন আমরা অনেক কিছু খুঁজে পাই। এনিয়ে আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দৃঢ়।’ এই পরিস্থিতিতে খলিস্তানি কাঁটায় ভারত-আমেরিকা মিত্রতার সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হয় কি না সেদিকেই এখন নজর কূটনীতিকদের।
![খলিস্তানি বিতর্কে কানাডার পাশেই আমেরিকা! - তিক্ততায় পরিণত হচ্ছে ভারতের সঙ্গে মিত্রতার সম্পর্ক?](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2023/10/17-1.jpg)