সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে রাজ্যে বসেছিল সপ্তম দুয়ারে সরকার। সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে গত মাসেই। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারেও সব থেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্যই। এর মধ্যে ৯ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দিতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এখন রাজ্যের ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এবার তার সঙ্গে আরও ৯ লক্ষ মহিলা যোগ হতে চলেছেন। আর তার দৌলতেই বাংলার বুকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় ২ কোটিরও বেশি মহিলা চলে এলেন। প্রকল্পটিও ২ কোটির ঘর পার হয়ে গেল।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় এখন বাংলার তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা পান প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে। বাকিরা পান ৫০০ টাকা করে। বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে অবশ্য সবাই প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করেই পান। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরে রাজ্যের সব থেকে বড় নির্বাচন ছিল সদ্য মিটে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোট। এই নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলকে ডিভিডেন্ড জুগিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার অর্থ কেন্দ্র আটকে রেখে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে ‘ক্ষত’ তৈরি করতে চাইলেও, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাতে কিছুটা প্রলেপ দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিদরা। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে মাত্র ১টি রাজ্যে একটি প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় তা কার্যত এক নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে।
এতদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য প্রতি মাসে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হতো প্রায় ১০৯০ কোটি টাকা। নতুন করে ৯ লক্ষ উপভোক্তা যুক্ত হওয়ায় প্রকল্প বাবদ প্রতিমাসে আরও ৪৫ কোটি টাকা খরচ বাড়বে। অর্থাৎ, এক বছরে এই খাতে মোট খরচ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকায়।