আসন্ন লোকসভ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই রণকৌশল সাজানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এরকম অনেক দলই আছে যারা বাইরে থেকে বিজেপিকে সাহায্য করে। তাঁদের সবাইকে লোকসভা নির্বাচনে হারাতে প্রস্তত এই জোট। কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই জানালেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। জোটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কংগ্রেসকে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি সব রাজ্যেই শরিকদের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করার বার্তাও দেন তিনি। উক্ত বৈঠকে সোনিয়া গান্ধীও ইন্ডিয়া জোটের প্রয়োজনীতার উপর জোর দেন। প্রতিটি রাজ্য থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই পরের বৈঠকে আলোচনা করে রাজ্যভিত্তিক দলের অবস্থান চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি। এদিন মূলত ভোটমূখী পাঁচ রাজ্যের রণকৌশল ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে সূত্র।
পাশাপাশি, এদিন দলের কর্মসমিতির সদস্য ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানান যে দলের অভ্যন্তরে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হলেও জোটের ১৪ জনের সমন্বয় কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বারবার আক্রান্ত হয়েছে দেশের সংবিধান। বিপন্ন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত বিরোধীদের হাতে থাকা রাজ্য সরকারকে প্রতিটি পদক্ষেপে বাধা দেওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের বিপর্যয় সম্পর্কে গোটা দেশের মানুষ অবগত। অথচ এমন বিপর্যয়ের পরেও আজ পর্যন্ত মোদী সরকার কোনও সাহায্য করেনি। এছাড়াও কারণে-অকারণে বিরোধীদের সমস্যায় ফেলতে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।