বিজেপির গুজরাত মডেলের পাল্টা কি ইন্ডিয়া জোটের বাংলা মডেল? ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাল ফলের পিছনে এই প্রকল্পের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল বলে মনে করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই প্রকল্পের বিরোধতায় বিজেপি নেতারা নানা সময় নানা কথা বললেও, শাসক দলের নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে সুর নরম করেছে। এমনকি ওই ধাঁচের প্রকল্প চালুর কথাও বলেছে। আর ইন্ডিয়াতে সামিল হওয়া একাধিক রাজনৈতিক দলের সদস্যরা শুরু করছেন তাদের নিজেদের রাজ্যে এই প্রকল্প।
ভোটমুখী কর্ণাটকে বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে মহিলাদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস । ওই প্রকল্পে মহিলাদের প্রতিমাসে ২০০০ টাকা করে ভাতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার দক্ষিণের আরেক রাজ্য তামিলনাড়ুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হাঁটল শাসক দল ডিএমকে। সেখানেও শুরু হয়ে গেল লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচে প্রকল্প। তামিলনাড়ু সরকার এই প্রকল্পের নাম রেখেছে কলাইগনার মাগালির উড়িমাই তির্থম। বাংলায় কলাইগনার মহিলা অধিকার প্রকল্প। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্টালিনের বাবা প্রয়াত এম করুণানিধিকে সম্মান জানাতে মানুষ কলাইগনার সম্বোধন করত। এই তামিল শব্দের অর্থ অতুলনীয় শিল্পী।
কেন বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডার ভিন রাজ্যেও যাচ্ছে? ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে, মহিলা ভোট টার্গেট সমস্ত রাজনৈতিক দলের৷ মহিলা সশক্তিকরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে। নারী ক্ষমতায়ণ নিয়েও প্রচার চলছে জোর কদমে। এই অবস্থায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচের প্রকল্পের মাধ্যমে অন্দরমহলে পৌঁছে যাওয়া যায়৷ আর তাই এনডিএ জোটের বিরোধিতায় সরব হতে গিয়ে, ইন্ডিয়া জোট হাতিয়ার করতে চলেছে সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার মডেলকে।তবে আপ, ডিএমকে, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে চলতে থাকা একাধিক মডেলকেও সামনে আনা হবে আগামী দিনে। তবে ইন্ডিয়ার হাতিয়ার মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যেতে লক্ষ্মীর ভান্ডার।