গণেশ পুজো উপলক্ষে রাজকীয় ভাবে সেজে ওঠে গোটা মহারাষ্ট্র। উৎসবের আসল চমক থাকে বিসর্জন ঘিরে। বিশালাকায় গণেশমূর্তি নিয়ে বেরোয় বিশেষ শোভাযাত্রা। কিন্তু এবছর গণেশ বিসর্জনের দিনেই পড়েছে ইদ। ফলত একইদিনে মুসলিমদেরও শোভাযাত্রা নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর কথ। সেক্ষেত্রে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ বাধার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এরকম কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই আগে ভাগেই ব্যবস্থা নিল সে রাজ্যের কিছু মুসলিম সংগঠন।
এ বছর গণেশ পুজোর বিসর্জনের দিনেই ইদ পড়েছে। সুতরাং মুসলিমরাও শোভাযাত্রার আয়োজন করবেন। ফলত দুই সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় একসঙ্গে নামবে রাস্তায়। যার থেকে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধও বাধতে পারে। এইসব এড়াতেই আগেভাগে ব্যবস্থা নিল সে রাজ্যের বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন। যদিও এর মূল উদ্যোগ কংগ্রেস নেতা নাসিম খানের। যিনি মহারষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রীও বটে।
সম্প্রতি সে রাজ্যের বেশ কিছু মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করেন। একইদিনে গণেশ বিসর্জন আর ইদ পড়ায়, ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে তা বিস্তারিত ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেন নাসিম। সেইসঙ্গে তিনি প্রস্তাব দেন, এবছর যদি ইদ উদযাপন একদিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া যায়। অন্তত গণেশ বিসর্জনের দিনেই শোভাযাত্রা বার করা থেকে যেন সকলে বিরত থাকেন, মুসলিম নেতাদের সেই অনুরোধ করেন নাসিম।
ইতিমধ্যেই এই অনুরোধ জানিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠিয়েছেন নাসিম। হিসাবমতো চলতি বছরে গণেশ বিসর্জন হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। ক্যালেন্ডারে ওই একইদিনে ইদ পালনের কথা লেখা রয়েছে। তবে নাসিম ও মুসলিন সংগঠনের ইচ্ছা এ বছর তাঁরা ইদ পালন করবেন একদিন পর। অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সে কথাই বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন নাসিম।